শিল্পখাতে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে একশনে নামছে সরকার

 

উৎপাদনমুখি কারখানায় কর্মপরিবেশ ফেরাতে একশনে নেমেছ সরকার। গতকাল  আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরির ঘটনায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা ৩ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।    যদিও বিজিএমইএ এর সভাপতির ভাষ্য‘‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর শিল্প পুলিশ এখনও ট্রমাটাইজড হয়ে আছে। তাদের নৈতিক মনোবল নেই” তবুও যৌথ বাহিনির অভিযানের মাধ্যমে আজ থেকে কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিল্প মালিকেরা।  আশুলিয়া ও গাজিপুরের বিভিন্ন যায়গায় বন্ধ হয়ে আছে অন্তত ২০০ টি কারখানা।সচিবালয়ে গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ উপদেষ্টা জরুরি বৈঠকে বসেন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রম ও কর্ম সংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। Advertisement

টিফিন ভাতা, হাজিরা বোনাস ৮০০ টাকা করা, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি, মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ বেশ কিছু দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছে শ্রমিকরা। পরে 'বাংলাদেশ বেকার সংগঠন' নামে একটি দলের ব্যানারে চাকরি প্রত্যাশিদেরও আন্দোলনে অংশগ্রহন করতে দেখা যায়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতোমদ্ধে ১৬৭ টি কারখানা বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। উৎপাদন বন্ধ রয়েছে অন্তত ২৫ টি ঔষধ কারখানায়। ফলে ইতোমধ্যে বাজারে ঔষধ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। দেশিয় কারখানাগুলো দেশের ৯৮ শতাংশ ঔষধ চাহিদা মিটিয়ে দেড় শতাধিক দেশে রপ্তানিও করে।উৎপাদন বন্ধ থাকলে খাতের রপ্তানিতে যথেষ্ট প্রভাব পরবে। শ্রমিক আন্দোলনে মাঝে জিম্মির ঘটনাও ঘটেছে। গতকাল একটি কারখানায় ৪০০ কর্মকর্তাকে প্রায় ৩৩ ঘন্টা জিম্মি করে বেশ কিছু দাবি আদায় করে শ্রমিকরা।

Post a Comment

Previous Post Next Post