মাজার সংস্কৃতি এবং ইসলামী দৃষ্টিকোণ

সম্প্রতি শাহ পরাণ মাজারে অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে মুসুল্লিদের মানববন্ধন ও সমাবেশকে ঘিরে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।  মাজারে গান বাজনা ও অশ্লীলতার বিরুদ্ধে নতুন  গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবাদের মুখে শাহ পরাণ মাজারে গান বাজনা বন্ধ করতে রাজি হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মধ্যযুগের ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্য এদেশে অনেক পীর আওলিয়াগনের আগমন ঘটে। ৩৬০ জন বিখ্যাত আওলিয়া সহ অসংখ্য ওলীগণের আগমন হয়েছে এদেশে। কিন্তু কালের বিবর্তনে এসকল আওলিয়াগনের কবরকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানা রকম অপকর্ম।

যদিও আভিধানিক অর্থে সকল মুসলমানের কবরকেই মাজার বলা যায়, কিন্তু আমাদের সমাজে শুধুমাত্র আওলিয়াগনের কবরকেই মাজার হিসেবে সন্মান জানানো হয়। এবং এসব কবরকে ঘিরে নাচ গান, জুয়া, নারীনৃত্য এসব হরহামেশাই করতে দেখা যায়। বর্তমানে কিছু কিছু মাজার নেশাদ্রব্য বেচাকেনার স্থান হয়ে উঠেছে। মানতের নামে এসব কবর হয়ে উঠেছে ব্যাতিক্রমধর্মী ব্যাবসার কেন্দ্রস্থল।  

কবরকে ঘিরে এই সব কর্মকান্ড ইসলাম কখনই সমর্থন করেনা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবর নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে উম্মাতকে সতর্ক করে বলেছেন, "হে আল্লাহ্! আমার কবরকে পূজার স্থানে পরিণত করো না, যাতে এর ইবাদত করা হয়। আল্লাহ্ অভিশাপ করেছেন ঐ জাতিকে যারা তাদের নবীদের কবর সমূহকে কেন্দ্র করে মসজিদ তৈরী করেছে।’’ -মুসনাদে আহমাদ। 

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নীত, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন,"ইহুদী খৃষ্টানদের প্রতি আল্লাহর লানত। কারণ তারা তাদের নবীদের কবরগুলোকে মসজিদে রূপান্তরিত করেছে।"--সহিহ বোখারি।

হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতনবী করীম (সাঃ) বলেছেন "কোন মূর্তি পেলেই তা ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলবে। আর কোন কবর উঁচু পেলেই তা ভেঙ্গে মাটি বরাবর করে দিবে।’’ -মুসলিম।

কবরে চুমু খাওয়া, সিজদা করা, তাওয়াফ করা, কবরের ওপর ইমারত বানানো, গিলাফ চড়ানো, মোমবাতি-আগরবাতি জ্বালানো ইত্যাদি একদিকে যেমন শরিয়তের দৃষ্টিতে গর্হিত কাজ এবং শীরকেরও শামিল।

তবে কবর জিয়ারত ইসলামে জায়েজ করা হয়েছে। এবং তা শরীয়ত সম্মত উপায়ে সকল মুসলিম কবরবাসির জন্যি হালাল।

বিজ্ঞাপনঃ আকর্ষনীয় সব অফার এখানে দেখুন


Post a Comment

Previous Post Next Post