বেক্সিমকোর শেয়ারের ৩২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

 


ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে কারসাজির তথ্য পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। ডিএসইর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কারসাজিতে জড়িত রয়েছে ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান। এই আট বিনয়োগকারীর মধ্যে আব্দুর রউফ ছিলেন ইউনাইটেড সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী, ক্রিসেন্ট লিমিটেড প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সঙ্গে যুক্ত ছিল, মোসফেকুর রহমান, মমতাজুর রহমান অ্যান্ড দেয়ার অ্যাসোসিয়েটস, জুপিটার বিজনেস, অ্যাপোলো ট্রেডিং, মারজানা রহমান এবং ট্রেডনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের বিনিয়োগকারী ছিলেন।

প্রতিবেদনে দেখা যায় ২০২২ সালের শুরুর দিকে বেক্সিমকোর শেয়ারে এই আট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ৮৪৬ কোটি ২২ লক্ষ টাকা রিয়েলাইজড ও আন-রিয়েলাইজড গেইন করেছে। এই আট বিনিয়োগকারী ছিলেন একইসাথে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বোচ্চ ক্রেতা এবং বিক্রেতা। বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে ভিন্ন ভিন্ন ক্লায়েন্ট কোডের মাধ্যমে ৭০ শতাংশের বেশি লেনদেন করেছে এই আট বিনিয়োগকারী।

২০২০ সালের শুরুর দিকে বেক্সিমকোর শেয়ার দর ছিল ১১ টাকা, যা ওই বছরের শেষ দিকে ২২ টাকায় লেনদেন হয়। ২০২১ সালে এই দাম বেড়ে হয় ১৯০ টাকা। এসময়  রেকর্ড পরিমাণ মুনাফা দেখিয়ে বড় আকারে ডিভিডেন্ড  ঘোষণা করা হয়। আর এসময়ই বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় এই আট বিনিয়োগকারী।

এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন ২০২২ এর শেষের দিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর কাছে জমা দেয় ডিএসইর তদন্ত কমিটি। তবে কমশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ট হওয়ায় প্রতিবেদনটি ধামাচাপা পড়ে যায়।

বেক্সিমকো শেয়ার কারসাজি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯- এর ধারা ১৭ – এর বেশ কয়েকটি উপধারা লঙ্ঘন করেছে যা একটিফৌজদারি অপরাধ। 


Post a Comment

Previous Post Next Post