রংপুরে লোডশেডিং ছাড়িয়েছে পুর্বের সব রেকর্ড

লোডশেডিং এর কারণে চরমভাবে বিপর্যস্ত উত্তরের বিভাগীয় শহর রংপুর এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহ। ২৪ ঘন্টার মধ্যে গড়ে ৭-৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে এ অঞ্চলে। মুল শহরের তুলনায় পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে আরও কম সময় বিদ্যুৎ থাকছে।

স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ১২-১৫ বার লোডশেডিং হচ্ছে এবং যা এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে থাকছে। দীর্ঘ সময় পর বিদ্যুৎ আসলেও আবার ২০-৩০ মিনিটের মধ্যেই আবার চলে যাচ্ছে। কিছুদিন বৃষ্টির পর দেশে বর্তমানে মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে। এমতাবস্থায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে এ অঞ্চলের মানুষ নানা রকম অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়ষ্করা স্বর্দী, জর, হিটষ্ট্রোক সহ নানা ধরনের তাপমাত্রা জনীত অসুখে ভুগছে। রংপুর মেডিকেল কলেজে তথ্য নিয়ে জানা গেছে গত কয়েকদিনে এই ধরনের জটিলতা নিয়ে ২০০ এরও বেশি মানুষ ভর্তি হয়েছে। 

ক্রমাগত লোডশেডিং এর কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এ অঞ্চলে গড়ে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর। বিপনন কেন্দ্রগুলোর বেচাবিক্রিতেও প্রভাব ফেলছে। এ অঞ্চলের একটা বড় জনগোষ্ঠি আয়ের জন্য ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা এবং ইজিবাইকের উপর নির্ভরশীল। খুব অল্প সময় বিদ্যুৎ থাকায় অটোরিক্সা এবং ইজিবাইকগুলো ঠিকমত চার্জ দিতে না পারায় তারা প্রায় বেকার হয়ে পড়েছে। ফ্রিজ, এসি টিভির মত ইলেক্ট্রিক যন্ত্রগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রচন্ড গরমে অতিষ্ট হয়ে সাধারণ জনগন ঘর ছেড়ে বাইরে বিভিন্ন গাছতলায় অবস্থান নিচ্ছে।

নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী (নেসকো) প্রধান প্রকৌশলী জনাব আশরাফুল ইসলাম মন্ডল বলেন পর্যাপ্ত সাপ্লাই না থাকায় এমন লোডশেডিং হচ্ছে।  নেসকো-এর সুত্রমতে মুল শহরে প্রতিদিন ৬৮-৭২ মেগাওয়াটের চাহিদা থকলেও ্মিলছে মাত্র ৫০-৫২ মেগাওয়াট। তবে এই পরিস্থিতির জন্য বিদ্যুৎ সনশ্লিষ্টদের অবহেলাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। সম্প্রতি মাহিগঞ্জে একটি ট্রান্সমিটার নষ্ট হয়ে গেলেও এটি মেরামতে তাদের কোন উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করেছেন তারা। 


Post a Comment

Previous Post Next Post