সম্প্রতি বাংলাদেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে বাংলাদেশের জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অন্যান্য মৌলিক স্বাধীনতা চর্চার সুযোগ থাকা উচিত।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ অক্টোবর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মিলার এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশ সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ করে ছাত্রলীগ ও এর সমর্থকদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য গ্রেফতার করেছে এবং সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করেছে। তিনি আরও জানতে চান, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক মত প্রকাশের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা এবং যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেবে।
জবাবে মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের মত প্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন দেয়। তিনি উল্লেখ করেন, ক্ষমতাসীন দল যেই থাকুক না কেন, যুক্তরাষ্ট্র এ নীতি সমর্থন করে, এবং তাদের অবস্থান বরাবরই এ বিষয়ে পরিষ্কার।
সংবাদ সম্মেলনে ২৫২ জন পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টরকে বরখাস্তের বিষয়ে মিলারকে প্রশ্ন করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, বরখাস্তদের মধ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকল প্রার্থী বাদ পড়েছেন। এর জবাবে মিলার বলেন, তিনি এই প্রতিবেদনটি দেখেননি, তবে যুক্তরাষ্ট্র যে কোনো ধর্মীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে। পরে জানতে চাওয়া হলে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন নিয়োগ নিশ্চিত করতে কীভাবে কাজ করছে, মিলার বলেন যে এ বিষয়ে তার কাছে নতুন কিছু যোগ করার নেই।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তিনি ওই প্রতিবেদনটি দেখেননি, তাই অনুমানভিত্তিক কোনো মন্তব্য করবেন না।
একই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক তার বিদায় উপলক্ষে সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং রাষ্ট্রদূতের পদে নতুন দায়িত্ব গ্রহণের কথা জানান। এ সময় মিলার তাকে অভিনন্দন জানান এবং তার নতুন দায়িত্বের জন্য শুভকামনা জানান।