প্রায় এক মাস ধরে ১৮টি দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন পোশাক খাতের শ্রমিকরা। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মজুরি বৃদ্ধি এবং বছরে ১০ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির (ইনক্রিমেন্ট) দাবি। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, সরকার ও মালিকপক্ষ শ্রমিকদের এই ১৮টি দাবি মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সচিব জানিয়েছেন যে ধীরে ধীরে শ্রমিকদের সব ন্যায্য দাবি পূরণ করা হবে। পোশাক কারখানায় চলমান শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনের জন্য ১৮ দফা দাবিতে শ্রমিক ও মালিকপক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে শ্রমিকদের দাবিকে উপেক্ষা করা হয়েছিল।
শ্রমিক নেতারা আন্দোলনরত শ্রমিকদের অসন্তোষ পরিহার করে কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শ্রমিকদের ১৮টি দাবির মধ্যে রয়েছে:
- ন্যূনতম মজুরি পুনর্নির্ধারণের জন্য মজুরি বোর্ড পুনর্গঠন।
- ২০২৩ সালের সরকার ঘোষিত মজুরি অবিলম্বে বাস্তবায়ন।
- শ্রম আইন সংশোধন।
- ৫ বছর চাকরির পর চাকরিচ্যুতি হলে একটি বেসিকের সমান অর্থ প্রদান।
- বকেয়া মজুরি দ্রুত পরিশোধ।
- হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল, এবং নাইট বিল সমান হারে বৃদ্ধি।
- প্রভিডেন্ট ফান্ড ব্যবস্থা চালু।
- ১০% বার্ষিক ইনক্রিমেনন্ট।
- রেশন ব্যাবস্থা চালু।
- বায়োমেট্রিক ব্ল্যাকলিস্টিং নিয়ন্ত্রণ।
- হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার।
- ঝুট ব্যবসার আধিপত্য বন্ধ।
- বৈষম্যবিহীন নিয়োগ।
- আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ।
- রানা প্লাজা এবং তাজরীন ফ্যাশনের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ব্যবস্থা।
- ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন।
- অন্যায্য শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ।
- মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন নির্ধারণ।